সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ মে) নগরীর কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৬ মে) আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা; জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন চিন্ময় দাস।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, সাইফুলের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তারা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মামলাটি করেন। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কর্মচারীকে মারধর, কাজে বাধাদান ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
মন্তব্য করুন