নওগাঁর পোরশায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক আবদুল হালিম (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন। তিনি আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. মকবুল হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হালিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ঘাটনগর গ্রামের আবু বক্কার ওরফে ভোগার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি আবদুল হালিম জেলার খাদখোড়া গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর পূর্বপরিচিত ও দূরসম্পর্কের আত্মীয়।
গত ২০২০ সালের ৯ মে গৃহবধূর বাড়িতে বেড়াতে যায় আবদুল হালিম। রাত সাড়ে ১১টার সময় গৃহবধূর কাছে পানি পান করতে চান তিনি। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় নিজেই তাকে পানি দিতে গেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এতে গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং পুত্রসন্তান জন্ম দেন। পরে ওই গৃহবধূ আদালতে মামলা দায়ের করলে মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত চার কর্মদিবসের মধ্যে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করে। আসামি পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এসএম সারোয়ার হোসেন।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ পলাতক আসামি আবদুল হালিম যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মন্তব্য করুন