মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাচেষ্টা করে কমিরুল মোল্যা নামের এক যুবককে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২২ জুন) মহম্মদপুর থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই জমিরুল মোল্যা।
ভুক্তভোগী কমিরুল মোল্ল্যা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে রাড়িখালী উত্তরপাড়া এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে কমিরুলকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের হত্যাচেষ্টা করা হয়। পরে মৃত ভেবে তাকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। তার পায়ের একটি অংশ বেরিয়ে থাকতে দেখে এক শিশু এলাকাবাসীকে খবর দেয়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মাটি খুঁড়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী কমিরুল মোল্যা বলেন, গত ১৯ জুন দুপুরে বাড়ি থেকে আমি রাড়িখালী বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। রাড়িখালী উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ওই গ্রামের আবদুল্লাহ নামের এক যুবক আমাকে বাঁশঝাড় থেকে কাটা বাঁশ বের করে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাকে পেছন থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এরপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি।
তিনি দাবি করে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর ওই ছেলের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিষয়ে তর্কবিতর্ক হয়। আমার ধারণা, এ কারণেই আমাকে খুন করতে চেয়েছিল।
কমিরুল মোল্যার মা ফরিদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে গলায় গামছা পেঁছিয়ে মেরে মাটিচাপা দিয়ে কয়জন মিলে পালাচ্ছিল। একটা ছেলে টের পেয়ে তার বাবাকে বললে স্থানীয়রা তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মরে গেছে মনে করে ওরা আমার ছেলেকে জীবন্ত মাটিচাপা দিচ্ছিল। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিরুল মোল্যার গলায় ব্যথা আছে এবং শ্বাসরোধ করার কারণে তার চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে। এ কারণে তাকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি আবদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর ভাই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে নির্যাতিত কমিরুলের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তার পরিবারের পাশে থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, নির্যাতিত প্রত্যেকটা মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মহান আল্লাহপাক আমার ভাই কমিরুলকে নিজে বাঁচিয়েছেন। কমিরুলকে সুস্থ করতে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা ও তার পরিবারের হয়ে মামলার সকল কার্যক্রম আমি নিজে তাদরকি করছি।
মন্তব্য করুন