কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধান্যদৌল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন (৩০) উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে।
বিল্লালের মা জোসনা বেগম জানান, বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে রয়েছে। এই দম্পতি চাকরি করার কারণে এতদিন তাদের সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে আর তাদের সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিল্লাল তার স্ত্রীকে চাকরি ছেড়ে বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে বলেন।
কিন্তু তার স্ত্রী নাসিমা কোনোভাবেই চাকরি ছাড়তে রাজি হননি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম চাকরি ছাড়ার সম্মতি না দিয়েই কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাকে খুঁজতে বিল্লাল হোসেন তার শ্বশুর বাড়ি যান। সেখানে তাকে না পেয়ে ফেরার পথে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধান্যদৌল এলাকায় এসে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অরূপ সিংহ কালবেলাকে বলেন, কীটনাশক পান করে আসা এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল স্বজনরা। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন