কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাখরনগর ও পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ফারজানা পরিবহনের ড্রাইভার সোহেলের সঙ্গে মনিরুল হক নামের এক সাংবাদিক ও তার ড্রাইভার শফিকের মারামারির হয়। পরে সাংবাদিক মনিরুল হকের পক্ষে বাখরনগর গ্রামের কিছু লোকজন ফারজানা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে এসে ড্রাইভার ও হেলপারদের মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে বাখরনগর গ্রামের লোকজন ফারজানা পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে।
সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় মহড়া দেয় ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজন। একই সময় বাখরনগর গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার উত্তর পাশে অবস্থান করে বাখরনগর গ্রামের লোকজন ও দক্ষিণ পাশে অবস্থানে ছিল ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফারজানা পরিবহনের ড্রাইভার সোহেলের সঙ্গে মনিরুল হক নামের এক সাংবাদিকের রাস্তায় গাড়ি ক্রসিং নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মনিরুলের ড্রাইভার শফিকের সঙ্গে পরিবহনের ড্রাইভার সোহেলের মারামারি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়ন রয়েছে।
মন্তব্য করুন