টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির পর গত তিন দিন ধরে সিলেটে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ সিলেটের জনজীবন। মাঝে মধ্যে কিছু বৃষ্টি হলেও তা তাপমাত্রায় তেমন প্রভাব ফেলেনি। তাপমাত্রা আহামরি খুব বেশি না হলেও বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পুড়ছে সিলেট। তীব্র গরমের কারণে মানুষজন বাসাবাড়ি থেকে বেড় হচ্ছেন না। এ ছাড়া গত তিন দিন থেকে বিদ্যুৎ ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিয়ে থাকে। তার ফলে নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
গেল সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দাপট অতটা বেশি না থাকলেও ভ্যাপসা গরমে নাকাল সিলেটের মানুষ। তবে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বেড়েছে সূর্যের দাপট। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সিলেটে আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েক দিনের অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের। তবে সকাল থেকেই তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। যার ফলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। একান্ত জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। চোখে-মুখে যেন আগুনের তাপ লাগছে।
নগরের লামাবাজারের এলাকায় রিকশাচালক সফর আলী কালবেলাকে বলেন, অন্যান্য সময় রোদে রিকশা চালালেও প্রচুর ঘাম হয়। তবে এখন তেমন ঘাম হচ্ছে না। তবে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে গা জ্বালাপোড়া করছে।
নবাবরোড এলাকার ব্যবসায়ী তালেব হোসেন কালবেলাকে জানান, গত ৫/৬ দিন টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু গত দুদিন ধরে দিনে বৃষ্টি না হলেও রাতে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এদুদিনের গরম অসহ্য হয়ে উঠেছে। বাসাবাড়ি থেকে বের হতেও ভয় লাগছে।
সিলেট নগরীর মির্জা জাঙ্গালের পিজি সাইনের স্বত্বাধিকারী নন্দ লাল গোপ কালবেলাকে বলেন, কয়েক দিন প্রচুর পরিমাণ গরম পড়েছে ও সারা দিন বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা আমদের পিন্টিং কাজ করতে পারতেছি না। ঘরমের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেশেও পড়ছে। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, এটি আগামী কয়েক দিন থাকবে। সেই পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এরপর হয়তো তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তখন বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন