একটি মৃত্যুই যেখানে পুরো জাতিকে বাকরুদ্ধ করে, সেখানে সেই মৃত্যুর মিছিল যেন থামছে না। রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আফসানের মরদেহ নিজ গ্রামের পথে যাত্রা করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন পরিবারের পিছু ছাড়ছে না- গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ঘটল আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
সোমবার (২১ জুলাই) ভোররাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় পৌঁছলে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের আইল্যান্ডে সজোরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে পড়ে। মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আর একটি নিথর দেহকে ঘিরে আবার শুরু হয় বাঁচার জন্য ছোটাছুটি।
পরিবারটি যেখানে স্বজন হারানোর গভীর শোক সইছে, সেখানে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা যেন সেই ক্ষতকে আরও গভীর করল।
নিহত তানভীর আফসান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার নগর ভাদগ্রাম নয়াপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। সে মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই গাড়িটি বাঁ দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজক স্থানে উঠে যায়, আর তাতেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। এতে চালকসহ গাড়িতে থাকা আরও কয়েকজন আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে নাওজোর হাইওয়ে থানার টহল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।
এ বিষয়ে নাওজোর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শামীম বলেন, মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনায় পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করি এবং আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহটি মির্জাপুরের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে পাঠিয়ে দিই।
মন্তব্য করুন