চট্টগ্রামে বাকলিয়া থানাধীন আরাকান রোড সংলগ্ন ৫ নম্বর ব্রিজের পাশে মো. মহিউদ্দিন (৪৫) নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৫ জুলাইয়ের এ ঘটনায় মো. সুমন (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হয়েছেন মহিউদ্দিন। মো. সুমন মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায়। বর্তমানে বাকলিয়ার দৌলতখানের কলোনির বাসিন্দা। তিনি বাকলিয়া থানায় মহিউদ্দিন হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।
নিহত মহিউদ্দিন আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের মিছির বাপের বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তিনি বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার মসজিদ গলির সৈয়দের বাপের বাড়িতে বসবাস করতেন।
বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ইকবাল নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত মো. মহিউদ্দিন ১২ বছর কারাভোগের পর গত ২৫ রমজান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিকের গাফফারের কলোনির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরদিন নিহতের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর জোনের উপকমিশনার মো. হাবিবুর রহমান প্রাং বলেন, সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ২৫ জুলাই বিকেলে আরাকান রোড সংলগ্ন ৫ নম্বর ব্রিজের পাশে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি ও পলাতক আসিফ। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি মাদক ব্যবসায় আধিপত্য ও পূর্ব শত্রুতার কথা জানান। মাদক বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা নিয়ে বিরোধ বাড়ছিল। মহিউদ্দিন আগে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিলেও এলাকায় প্রভাব ছিল। এ কারণে আসিফ ও সুমন পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন মহিউদ্দিনকে একা পেয়ে গুলি করে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মো. সুমনে দেওয়া তথ্যে বাকলিয়া থানাধীন ১৮নং দক্ষিণ বাকলিয়া তক্তারপুল সংলগ্ন খাল পাড়ের পূর্ব পাশে আবু সওদাগরের কলোনির পিছনে খালের দেয়ালের সঙ্গে ইটের স্তূপের নিচে লুকিয়ে রাখা একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। পিস্তলটি আমেরিকার তৈরি (KF 7.65 মডেল)। এটি স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না, আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে পারে। সুমনের সহযোগী মো. আসিফকে (২৬) গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে।
মন্তব্য করুন