আশুলিয়ায় ৩২ সিএনএফ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ক্যাডারচক্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত ৩১ জুলাই আশুলিয়া থানায় দেলোয়ার হোসেন মিন্টুকে প্রধান আসামি করে একটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।
মামলার বাদী হিসেবে নাম রয়েছে ফখরুল ইসলাম নামের এক যুবকের, যিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সুমন ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সশস্ত্র ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত স্বৈরশাসনের সময় থেকেই ইপিজেড এলাকার সিএনএফ ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আসছে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী। ‘কাস্টম সরকার ফেডারেশন’-এর নামে গড়ে তোলে একচেটিয়া আধিপত্য। তার বিরুদ্ধে মত গেলেই চালানো হতো ভয়াবহ নির্যাতন, এমনকি জড়ানো হতো হয়রানিমূলক মামলায়।
সিএনএফ সিনিয়র সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ৩০ জুলাই রাতে ফখরুলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র ক্যাডার তার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখায় এবং ইপিজেড এলাকায় ব্যবসা না করার হুমকি দেয়। পরে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি গোডাউনে আটকে রেখে মারধর করা হয়। বলা হয়, ব্যবসা চালালে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যা কিংবা এলাকা ছাড়া করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আশুলিয়া থানায় জিডি করেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফখরুল ইসলাম একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে কোনো হত্যা মামলা রেকর্ড হয়নি। ক্ষমতার ছত্রছায়ায় তিনি এখনো ইপিজেড এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সিএনএফ ব্যবসায়ীরা ইপিজেড এলাকায় নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
মন্তব্য করুন