ফরিদপুর জেলা বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে দলটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম। দলটির নোটিশ পাওয়া ওই দুই নেতা হলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী এবং সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) স্বাক্ষরিত এ নোটিশ শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া। নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা এবং সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোর কমিটি গঠনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক টিমের পরামর্শ অনুযায়ী কমিটি না করে একপক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোন প্রক্রিয়ায় ও কিসের ভিত্তিতে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে— তার তথ্য ও প্রমাণসহ লিখিত ব্যাখ্যা আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক টিমের প্রধান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম।
ফরিদপুর জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভা, ১৯ জুন মধুখালী উপজেলা ও পৌরসভা এবং ১৪ আগস্ট আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে আলফাডাঙ্গায় দলের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে সম্মেলন দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং এখনও কোনো প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। তবে বোয়ালমারী ও মধুখালীর উপজেলা ও পৌর কমিটি এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।
শোকজ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন কালবেলাকে বলেন, ‘নোটিশ তিনটি উপজেলায় কমিটি গঠনের বিষয়ে বলা হয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সাংগঠনিক নিয়ম মেনে দুটি উপজেলাতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সম্মেলন করে তাদের পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেখানে কমিটি এখনো করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘যে দুটি উপজেলা (মধুখালী ও বোয়ালমারীতে) কমিটি গঠন করা হয়েছে এই দুই মাসে সে বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ থাকে আমরা সে বিষয়টি দেখব। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা নোটিশের জবাব দেব।’
মন্তব্য করুন