শরীয়তপুরের সখিপুরে আলোচিত শিশু তাইয়েবা হত্যার ঘটনায় চাচি আয়শা বেগমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি ও তার সহযোগীকে আদালত দুদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। অন্য আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু তাইয়েবা (৬) ওই এলাকার টিটু সরদারের মেয়ে। সে স্থানীয় দারুল নাজার মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন—শিশু তাইয়েবার চাচি আয়শা বেগম, সহযোগী আসিফ বেপারী ও প্রতিবেশী নাসিমা আক্তার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৬ বছরের শিশু তাইয়েবা নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির দুদিন পর শুক্রবার দুপুরে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা টিটু সরদার বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর তারা সখিপুর থানা ঘেরাও করে আসামিদের নাম প্রকাশ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, থানার পুলিশ আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল, তবে আদালত নিরাপত্তা ও প্রক্রিয়াগত কারণে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তাইয়েবার বাবা টিটু সরদার বলেন, আমার ফুলের মতো মেয়েটিকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি এ হত্যার সঠিক বিচার চাই। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তান নিরাপদ থাকবে না।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের সব দিক সমাধান করা হবে। আমাদের লক্ষ্য মামলার ন্যায়পরায়ণ ও দ্রুত তদন্ত নিশ্চিত করা। থানার পুলিশ পুরোপুরি সহযোগিতা করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন