ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ির মিলে যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ফরহাদ বেপারী ওরফে ঠান্ডু।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে সদরপুর থানায় মামলা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী ফরহাদ বেপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫) একই উপজেলার ছলেনামা এলাকার বেপারিডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি ফরহাদ ব্যাপারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা কেটে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর প্রস্তুত করে রাখা হয়। তবে তার ঘুম ভেঙে গেলে তিনি চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি পালিয়ে যান। তবে রাতে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী লাবনী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফরহাদ ব্যাপারীর ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি টাকা জমিয়ে ১১ লাখ টাকা জমি কেনার জন্য স্ত্রী ও শাশুড়িকে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা জমি না কিনে তাকে হত্যা করে টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ভাসানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম কাউছার বলেন, এ ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। যেভাবে আগে থেকে কবর খুঁড়ে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ফরহাদকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল এ জাতীয় ঘটনা এলাকায় আগে কখনও ঘটেনি। অন্য কোথাও ঘটেছে বলেও শুনিনি। তবে এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ওই পরিবারের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আছে।
সদরপুর থানার ওসি সুকদেব রায় বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ফরহাদ ব্যাপারীর স্ত্রী লাবনী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্য দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তির গলার ক্ষত গভীর নয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন