চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৫০) মারা গেছেন। শনিবার (০৪ অক্টোবর) রাতের কোনো এক সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে ছোট ভাইয়ের বাসায় তিনি মারা যান।
শনিবার রাত থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরে রোববার সকালে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর খবর চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছলে জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিএনপি নেতা শিপলু ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার প্রয়াত মির্জা আবদুল হক ও মির্জা আমেনা হকের বড় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু বছরখানেক আগে হার্টে রিং স্থাপন করেন। গত দুই দিন আগে চেকআপের জন্য তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ এলাকায় ছোট ভাই মির্জা সায়েম মাহমুদের বাড়িতে একাই ছিলেন। ওই রাত ১২টার পর থেকে তার মোবাইল রিসিভ হচ্ছিল না। রোববার সকালে তার ছোট ভাই রাতুল ওই বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবরে সেখানে ছুটে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। তারা পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
শিপলুর স্ত্রী শিমু খাতুন জানান, তাদের ধারণা রাতে ঘুমের মধ্যে আকস্মিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শিপলু মারা গেছেন।
শিপলুর ছোট ভাই নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বিপুল জানান, সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গায় তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বিএনপি দলের একজন নিবেদিত মানুষকে হারাল। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমরা তার আকস্মিক ও অকাল মৃত্যুতে শোকাহত।
মন্তব্য করুন