বরিশালে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে পক্ষপাতিত্ব করে অন্য দলের বিজয় নিশ্চিত করার অভিযোগে রেফারির ওপর হামলা করেছে পরাজিত দলের সমর্থকরা। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে কবি জীবনানন্দ দাশ আউটার স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার রেফারির নাম মো. আব্দুর রহিম। তিনি ভোলা জেলার রেফারি। ডিসি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে খেলা পরিচালনার জন্য তাকে বরিশালে আনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবি জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে চলমান বরিশাল জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের বরিশাল সদর বনাম মুলাদী উপজেলা দলের খেলা ছিল। খেলাটি শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ফলে ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো পক্ষই গোল দিতে পারেনি।
পরে টাইব্রেকারে ২-১ গোলে বরিশাল সদর উপজেলা দল বিজয়ী হয়। বিজয়ের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শক সারিতে থাকা মূলাদীর দর্শকরা রেফারি আব্দুর রহিমের ওপর হামলা করেন। এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই ঘটে এ ঘটনা।
খেলোয়াড় ও মুলাদীর দর্শকদের অভিযোগ, খেলায় মুলাদী উপজেলা দলের বিজয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রেফারি আব্দুর রহিম ইচ্ছাকৃতভাবে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। তিনি মুলাদী দলের একটি নিশ্চিত গোল আটকে দিয়েছেন অফ সাইডের অজুহাতে।
এ ছাড়া মুলাদী দল একটি পেনালটি শট পেয়েছিল, সেটাও দেননি তিনি। অথচ মুলাদী দলকে অহেতুক একটি পেনালটি দিয়েছেন। এসব করে রেফারি মুলাদীকে হারিয়ে বরিশাল সদরকে বিজয়ী করেছে। এ কারণে দর্শক সারিতে থাকা মুলাদীর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে খেলা শেষে রেফারির ওপর হামলা করেন।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খেলা শেষ হওয়ার পরপরই কিছু উচ্ছৃঙ্খল দর্শক এ অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে বড় কোনো ঝামেলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় আমি কিছুটা দূরে অবস্থান করছিলাম। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখানে যে মারামারি হয়েছে আসলে তা নয়, একটু হাতাহাতি হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত কি না সেটা তো আমাদের বলা সম্ভব নয়। রেফারি যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। খেলায় যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে সে জন্য ভোলা থেকে রেফারি আনা হয়েছে। তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে। এখন তারা কোনো ভুল করলে সেটা রেফারি অ্যাসোসিয়েশন আছে, তারা দেখবে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে প্রতিটি খেলায় পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার জন্য তিনি সম্মতি দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন