ষড়্ঋতুর এই বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি সাজে নিত্যনতুন রূপে। এখন হেমন্তের সকাল, দূর্বাঘাসে ঝরে পড়া শিশিরবিন্দু, ধানের পাতায় ঝুলে থাকা মুক্তার মতো কণা জানিয়ে দিচ্ছে শীত আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই।
ভোরবেলার হালকা কুয়াশা, বিলে ফুটে থাকা শাপলা, আর পাটগ্রামের মাঠে পাকা ধানের সোনালি রঙ যেন পুরো প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরও স্নিগ্ধ। কৃষকের ঘরে নতুন ধানের গন্ধে ভরে উঠেছে বাতাস। বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিউলি আর বেলি ফুলের গন্ধ নির্মল করছে গ্রামীণ পরিবেশ। পথের ধারে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠছে হেমন্তের সকাল।
পাটগ্রাম উপজেলার উফারমাড়া গ্রামের শিক্ষক ইমদাদুল হক মোল্যা বলেন, ‘হেমন্ত এলেই আমরা বুঝি, নবান্ন আর নতুন ধানের পিঠার মৌসুম চলে এসেছে। এই সময়টা যেন গ্রামের প্রাণ ফেরানোর ঋতু।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার ঘরে ঘরে পাতলা কাঁথা, চাদর ও কম্বল খাটে জায়গা পেতে শুরু করেছে। দিনে রোদ থাকলেও রাত নামলেই হালকা শীতের অনুভূতি বাড়ছে, বিশেষ করে মধ্যরাতের পর শীতের আমেজ আরও ঘন হয়ে উঠছে।
এদিকে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যাচ্ছে গ্রামের অর্থনীতির চিত্রও। কৃষকের ঘরে নতুন ধান, গুড় বিক্রি, আর নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে পাটগ্রামের অর্থনীতি।
মন্তব্য করুন