কক্সবাজারের টেকনাফে এবার পাহাড়ের পর মেরিন ড্রাইভ সৈকত সংলগ্ন মানবপাচার শিকার ২৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ১টায় মহেশখালীয়া পাড়া ঘাটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, উদ্ধারকৃত ২৯ জন ভুক্তভোগীকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আটককৃত তিনজন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা রুজু করার বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
বিজিরি অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় মেরিন ড্রাইভ সৈকতের কৌশলগত বেশকিছু পয়েন্টে ২ বিজিবির বিশেষ টহল দলের সদস্যরা নিবিড় নজরদারি শুরু করে। এসময় রাত গভীর হলে সমুদ্র উপকূলে থেকে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলটিকে ঘিরে ফেললে দেখতে পায়, মানবপাচারকারী চক্র গোপনে ২৯ জন ভুক্তভোগীকে একটি নৌযানে গভীর সাগর দিয়ে পাচারের জন্য প্রস্তুত করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দ্রুত ও কার্যকরী হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগীদের অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই মানবপাচারের দায়ে চক্রটির তিন জন মূলহোতাকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, আজকের দিনটি টেকনাফ সীমান্তে মানবপাচারকারী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর জন্য একটি চরম দুঃসংবাদ বহন করে এনেছে। আমরা ভোরে পাহাড়ের দুর্গম চূড়া থেকে জিম্মি উদ্ধার করেছি এবং সন্ধ্যায় সমুদ্র উপকূলে মানবপাচার বানচাল করেছি।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ দুটি সফল মানবপাচারবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে বিজিবি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সমুদ্রের জলসীমা পর্যন্ত কোনো অপরাধীর জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়। মানবতাবিরোধী এমন জঘন্য অপরাধ আমরা কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না। আমাদের এই ধারাবাহিক ও কঠোর নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন