

নরসিংদীর পলাশে এমরান ওরফে নয়ন বাবু (৩৫) নামে পাওয়ারলোমের এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমরান ওই গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, সোমবার রাতে বাড়ির পাশে মোস্তফার পাওয়ারলোমে ডিউটি করতে যায় এমরান ওরফে নয়ন বাবু। পরে রাত ৩টার দিকে পাওয়ারলোমের ভেতর থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হয় তিনি।
কিন্তু তারপর সে আর ভেতরে প্রবেশ করেনি। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে পাওয়ারলোমটির একজন শ্রমিক বাহিরে বের হলে এমরানকে মিলের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে তার পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে এমরান মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, কামাল নামে তার স্বামীর এক বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কিছুদিন আগেও কামাল রাত ১২টার সময় এসে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুপুরে কামালের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা। কামাল আরও মানুষদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, নিহত এমরান ওরফে নয়ন বাবু পাওয়ারলোমে চাকরি করতেন। রাতে ডিউটিরত অবস্থায় পাওয়ারলোমের বাইরে আসার পর কে বা কারা তার মাথার পেছনে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমরানের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন