শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সরকার কান্দি এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেওয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ওষুধের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সখিপুর থানার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আক্তার সরকারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সখিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সরকার কান্দি এলাকায় সরকারি খাসজমিতে ২০২২ সালে ভূমিহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৫২টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। পরে ভূমিহীনদের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা ১ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। গত শনিবার সকালে স্থানীয় আক্তার সরকার শ্রমিক নিয়ে এসে গাছ কাটা শুরু করেন। আমরা গাছ কাটতে বাধা দিলে আমাদের হুমকি-ধমকি দেন। গতবার শনিবার দিনভর বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেন। এরপর গত সোমবার এসেও হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি এখানে কাঁঠাল গাছ, পেয়ারা গাছ, কলাগাছ, আমড়া গাছসহ বেশকিছু গাছ লাগিয়েছিলাম কিন্তু তিনি গাছগুলো কেটে ফেলেছে।
আশ্রয়ণে থাকা বাসিন্দা সনিয়া আক্তার জানান, আমরা গরিব মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের থাকার জন্য মুজিব শতবর্ষের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। আমরা কাজের পাশাপাশি আশ্রয়ণে পড়ে থাকা খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও সবজি গাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু আক্তার সরকার এসে আমাদের সব গাছ কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার সরকার বলেন, ‘আমি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোনো গাছ কাটিনি। আমার জায়গায় ওরা গাছ লাগিয়েছে তাই কেটে ফেলেছি। ইউএনও স্যারকে একাধিকবার বলেও আশ্রয়ণের সীমানা নির্ধারণ করাতে পারিনি। আশ্রয়ণের পাশে আমার জমি আছে। ওরা আমার জমি সবসময় ময়লা পানি ও মলমূত্র ফেলে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, আপনারা জানেন ওই জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা। একসময় প্রভাবশালীদের দখলে ছিল। সরকার সেটিকে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ঘর নির্মাণ করে।
তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি থেকে গাছ কাটার বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন