সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল করতে না পেরে আমেরিকা এখন সরকার হটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় ছাত্রলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না আমেরিকা। কারণ তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘাঁটি বানাতে চায়। সেখান থেকে তারা চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায়। বাংলাদেশকে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে- ‘শীর দেব তবু সীমানা দেব না’। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, আমেরিকা তাদের পোষা কুকুর ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসাতে চায়। বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের (আমেরিকা) সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি করতে দেওয়ায় চুক্তিতেও আবদ্ধ হয়েছে। বাংলার জনগণ তা কখনোই হতে দিবে না।
কাদের মির্জা বলেন, ড. ইউনূস সুদের ওপর নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন। নিরীহ জনগণকে নিঃস্ব করে তিনি এখন দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আমেরিকাকে দিয়ে ধমক দিচ্ছেন। আমি বলব- কাকে ধমক দেন? যে দলের নেতা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। যার কন্যা দেশ গঠনে জীবন বাজি রেখেছেন, তাকে ধমক দেন? আমি স্পষ্ট ভাষায় বলব- ভিসানীতি ঘোষণা করে কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও রাজপথ থেকে আমাদের সরাতে পারবে না।
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে কাদের মির্জা বলেন, আপনারা হারিকেন নিয়ে ঘেরাও করতে চান। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়লার ব্যবস্থা করেছেন। ১৫ দিন পর শতভাগ বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। তখন জনগণ একত্র হয়ে আপনাদেরই ঘেরাও করবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমরাও বসে থাকব না। ঘেরাও করতে আসলে রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে।
আলোচিত এ মেয়র আরও বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। যাদের বাড়ি-গাড়ি সেখানে আছে তাদের কাপড় ভিজে গেছে। আমাদের এটার প্রতি কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই। এর আগেও কিউবা, নাইজেরিয়া, উগান্ডা ও সোমালিয়াসহ অনেক রাষ্ট্রে আমেরিকা ভিসানীতি দিয়েছিল। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।
সমাবেশের আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, বসুরহাট পৌরসভা ও সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে নোভেলজয়ী ড. মো. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দেয়।
সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারূফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান আল ইসলাম তন্ময় প্রমুখ।
মন্তব্য করুন