আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সবার প্রচেষ্টায় রাজশাহী এখন দেশের সেরা নগরী হিসেবে প্রশংসিত। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ বিভাগের কার্যক্রম এখন দৃশ্যমান। নগর পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগগুলো দায়িত্ব পালন করছে। স্মার্ট রাজশাহী বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। যেখানে ১৬১টি উদ্যোগ ডিজাইনে ২০টি প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে। স্মার্ট সিটি গড়তে তিনটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর আয়তন বৃদ্ধি, নৌবন্দর স্থাপনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে উন্নত ও স্মার্ট রাজশাহী গড়তে চাই।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সপ্তম পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০১৮-২৩ সাল মেয়াদে রাজশাহীর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা যথাযথভাবে প্রদানে আমরা নিরলসভাবে কাজ করেছি। বিশেষ করে করোনাকালীন দুঃসময়ে আমরা সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম। ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
সভায় বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভার প্রস্তাব পাঠ ও অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজিত এসডিএল ছয় দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রস্তুতি সভার সুপারিশসমূহ পাঠ ও অনুমোদন, পঞ্চবার্ষিক এসেসমেন্ট, সরকারি বেসরকারি হোল্ডিং করের ওপর ১৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপ, মওকুফকরণ, বাড়ি নির্মাণসামগ্রী রাখার ওপর ফি নির্ধারণ সম্পর্কে আলোচনা, গত ৮ আগস্ট রাসিক ও এসপায়ার টু ইনোভেটের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্মার্ট রাজশাহী সিটি ডেভেলপমেন্ট বিনির্মাণবিষয়ক সমঝোতা স্মারক অবহিতকরণ, ফুটপাত অবৈধ দখলদার মুক্তকরণ ও শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় খাসজমি অবৈধ দখলদার মুক্তকরণসহ বিভিন্ন ব্যয়ের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ১ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সচিব আল মাহমুদ রনি।
মন্তব্য করুন