রাজধানীর ডেমরায় র্যাব-৩ এর অভিযানে নাশকতা সৃষ্টির জন্য তৈরি ১৫টি তাজা ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেছে র্যাব। ওই মামলায় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলো- ডেমরার বাঁশেরপুল সালামবাগ এলাকায় বসবাসরত বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার গাবতলা গ্রামের সাত্তার শিকারি ছেলে মো. জাকির শিকারি (৩৫) ও ডেমরার ডগাইর বাজার এলাকার মৃত জালাল ভূঁইয়ার ছেলে মো. ইসরাফিল ভূঁইয়া (৫০)। তারা ককটেল বোমা প্রস্তুতকারী ও মজুতদার।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে র্যাব-৩ এর একটি অভিযানিক দল বাঁশেরপুল গার্মেন্টস গলির একটি নির্মাণাধীন ১ তলা পরিত্যক্ত ভবনে অভিযান চালায়। এ সময় ১৫টি ককটেল, ককটেল তৈরির সরঞ্জামাদি, ৫টি টিনের ছোট খালি কৌটা, ৫০ গ্রাম গান পাউডার, ২টি গ্যাস, ২টি স্কসটেপ ও ১টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা (ঢাকা মেট্রো থ ১৪-৭৩৭৬) উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
ওই রাতেই র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল নিষ্ক্রিয় করেন। ওই বাড়িটি স্থানীয় বিএনপি নেতা মৃত আব্দুর রশিদের রাশিয়া প্রবাসী মেয়ের বাড়ি। যেটির দেখাশোনা করেন তার ছোট ভাই বিএনপি কর্মী বাবু।
সোমবার রাতে র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বিরোধীদলের ডাকা হরতাল-অবরোধকে সফল করারত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো ও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মানুষের জানমালের ক্ষতির উদ্দেশ্যে ককটেল বোমা তৈরি করছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। ওই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন