আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব। এটা আমাদের স্লোগান, এই স্লোগান দিয়েই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলাসহ ৬ জেলায় ভার্চুয়াল জনসভায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এমন একটা রাজনৈতিক দল যাদের কাজ হচ্ছে ষড়যন্ত্র করা, ভোট বানচাল করা। তাদের জন্মই হয়েছে গণতন্ত্রকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। তাদের সাথে আছে জামায়াত। জামায়াত-বিএনপি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আগুনসন্ত্রাস শুরু করে।
২০০৯ সাল থেকে বারবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা না আসলেও নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। আমরা নৌকা দিয়েছি পাশাপাশি দলের যে কেউ নির্বাচনে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সেটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের জনগণের কাছে যাওয়ার উপদেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন। জনগণ যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দিবেন। নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৮১ সালে ১০ বছর এবং আট বছরের দুই সন্তানকে বিদেশে রেখে বাংলাদেশে এসে দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। তারপর সারা বাংলাদেশে ঘুরে ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। আগামী ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চূড়ান্ত মর্যাদা অর্জন করতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সাথে তিনি প্রথমে কথা বলেন। এ সময় জামালপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
জামালপুর-১ আসনে নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনে মাহবুবুর রহমান ও জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হককে সফল মন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। পরিচয় পর্বে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
মন্তব্য করুন