পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া এ পরিস্থিতি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাবস্থা বলছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বুধবার দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) ১৭ দশমিক ২ থেকে বেড়ে রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সন্ধ্যায় পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা ঝরেছিল। একইসঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল।
তবে প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও সকাল ৮টার মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও হিমশীতল বাতাসে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে রিকশা-ভ্যান চালকসহ এসব শ্রমজীবী মানুষের।
ভোর থেকেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। ঘন কুয়াশায় আর বাতাসের কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে। তবে সকাল ৮টার পর দেখা মিলে সূর্যের। সূর্যের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ কিছুটা কমে আসে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন শ্রমিকরা।
শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সকালবেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, তেঁতুলিয়ার আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাস এ জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এ এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন