কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশা। ছবি : কালবেলা
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশা। ছবি : কালবেলা

তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতে ঠাণ্ডার দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪৩ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

শীত ও কনকনে ঠান্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষজন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শুধু মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়াডে ভর্তি হয়েছে ২০ জনের অধিক শিশু। সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। সেখানে সর্বমোট ভর্তি রয়েছে ৪৩ শিশু।

এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদনদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা।

জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওর্য়াডে ভর্তি সাধিয়া নামের এক শিশুর মা রশিদা বেগম বলেন, শিশুর ডায়রিয়া নিয়ে গত পাঁচদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন ডায়রিয়া ভালো হয়েছে। তবে গতকাল আবার পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। আরও যে কয়দিন হাসপাতালে থাকা লাগে আল্লাহ জানেন।

সদরের পৌর শহরের হাটির পাড় এলাকার কলা বিক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, দুই-তিন দিন থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এমন কুয়াশায় কাজও করা যায় না, ঠান্ডায় মানুষ কলাও কিনতে চায় না। গত দুই তিন দিন থেকে সারা দিনে রোদ ওঠেনি। খুব সমস্যায় পড়েছি, কী যে হবে আল্লাহই জানে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন এমন থাকবে। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনে ঢাবিতে নানা আয়োজন 

ময়লাযুক্ত জলাশয়ে মিলল নিখোঁজ তিন শিশুর মরদেহ

স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচি ঘোষণা

‘হানির নিচে সব ডুবি গেছে, ঘরে যাইতাম কেন্নে’

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে প্যানেল পদ্ধতির প্রস্তাব এবি পার্টির

মেট্রোরেলের ঢাবি স্টেশন বন্ধ থাকবে সোমবার

অন্তিম মুহূর্তে তৃষ্ণার গোলে নাটকীয় জয় বাংলাদেশের!

চাঁদার টাকাসহ বিএনপি নেতাকে হাতেনাতে ধরল সেনাবাহিনী

ডিম সেদ্ধ না ভাজা, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?

রোটারি ক্লাব চিটাগং এরিস্টোক্রেটের নতুন কমিটি

১০

৩৯ প্রভাবশালীর দখলে পাউবোর ৩২০ কোটি টাকার জমি

১১

দীর্ঘ খরা কাটিয়ে অবশেষে লিটন দাসের ব্যাটে আলো

১২

বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিএনপির ‘মনিটরিং সেল’ 

১৩

বাইকারের জীবন রক্ষার প্রতীক ‘এএইচও’ বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক হবে কবে?

১৪

শাজাহান সিরাজের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

১৫

দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে তথ্য আপাদের পদযাত্রা ও স্মারকলিপি

১৬

মিয়ানমারে উলফার ৪ ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাদের ব্যাপক হামলার অভিযোগ

১৭

এমপি হচ্ছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

১৮

ছোট আমদানি-রপ্তানিকারকদের ‘বড় সুখবর’ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

১৯

লিটন-শামিমের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

২০
X