স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দীর্ঘ খরা কাটিয়ে অবশেষে লিটন দাসের ব্যাটে আলো

লিটন দাস। ছবি : সংগৃহীত
লিটন দাস। ছবি : সংগৃহীত

শেষ ১৩ ইনিংসে ছিল না কোনো উল্লেখযোগ্য স্কোর, সমালোচনার মাঝে চুপচাপ ছিলেন। কিন্তু দাম্বুলার রাতটা বলল—লিটন দাস এখনও আছেন, নিজের মতো করেই আছেন।

পাল্লেকেল্লেতে ৬ রান। তার আগে পাকিস্তান সফরে পাঁচ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৮। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ তিন ইনিংসেও পানসে ব্যাটিং। ১২ ইনিংসে একটি হাফসেঞ্চুরিও নেই। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে যেন ‘টিক’ শব্দটাই উঠছিল না।

কিন্তু ১৩ জুলাই দাম্বুলার আকাশে যখন টাইগার ব্যাটিংয়ের সূর্য অস্ত যাচ্ছিল, তখন একা দাঁড়িয়ে ছিলেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন, খেলেন ৫০ বলে ৭৬ রানের এক অনবদ্য ইনিংস।

ব্যাট হাতে লিটনের এই ইনিংস ছিল শুধু স্কোরবোর্ড সাজানোর জন্য নয়—এটা ছিল আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াই, অধিনায়ক হিসেবে নিজের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার লড়াই। ১৩ ম্যাচ পর ফিফটি পেলেন, পেলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের চোখে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার সেই পুরনো ছায়া।

তার ইনিংসে ছিল ৫টি বিশাল ছক্কা, মাত্র ১টি চার। স্ট্রাইক রেট—১৫২! কেবল দায়িত্বশীল নয়, আগ্রাসী লিটনও ছিলেন সেখানে।

গত কিছুদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিটন ছিলেন ‘ভাইরাল’, তবে ব্যাট হাতে ছিলেন নীরব। ব্যাটিং অর্ডারে নানা পরিবর্তন, দায়িত্বের চাপ, দলীয় ব্যর্থতা—সবই যেন চাপ দিচ্ছিল কাঁধে। কিন্তু দাম্বুলার উইকেটে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির কঠিন পরিস্থিতিতে তিনিই দাঁড়িয়ে গেলেন ব্যাট হাতে।

৭ রানে ২ উইকেট হারানো দল, তখন ক্রিজে লিটন। তারপর—ধৈর্য, শট সিলেকশন, পরিস্থিতি মূল্যায়ন—সবকিছুর সমন্বয়ে টেনে নিলেন দলকে ১৫৫ রানের পর্যায়ে, যেখান থেকে বাংলাদেশ গড়তে পারে ১৭৭ রানের সংগ্রহ।

লিটনের এই ইনিংস বার্তা দেয় নির্বাচকদের—যে তিনি এখনও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের সেরা ব্যাটারদের একজন। বার্তা দেয় দর্শকদের—বিশ্বাসটা হারাবেন না। আর বার্তা দেয় দলের ভিতরেও—লিটন যখন ফর্মে থাকেন, দলের রানে ঘাটতি থাকে না।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে। এই ইনিংস যদি হয় লিটনের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, তাহলে বাংলাদেশ দলে নতুন করে প্রাণ ফিরতে পারে। নীরব থেকে কথা বললেন ব্যাট দিয়ে—লিটন দাস যেন আবার নিজের রূপে ফিরছেন!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভবনকে যার সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে কমিশনের নতুন ফর্মুলা

পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতল চেলসি

লন্ডনে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে

‘হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে’

আবু সাঈদ হত্যায় ফরেনসিক বিশ্লেষণে দুটি বিষয় স্পষ্ট : আসিফ নজরুল

সোহাগকে বাঁচাতে কেন এগিয়ে আসেননি বাহিনীর সদস্যরা, জানালেন আনসারপ্রধান

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

১০

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১১

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

১২

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

১৩

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৪

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৫

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

১৬

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

১৭

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১৮

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১৯

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

২০
X