মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সহিংসতার ফলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া এমন খবরে এবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। দেশ থেকে পাচার করছে ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য। এবার পাচারকালে কক্সবাজারের টেকনাফের সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকা থেকে পাচার চক্রের দুজন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১৫।
এ সময় পাচারকালে ৪ হাজার ৪৭০ লিটার সয়াবিন, বিভিন্ন প্রকারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০ পিস ওষুধ ও ৫শ কেজি ময়দা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত পাচারকারীরা হলো- টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হাতিয়ারঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে আব্দুল মন্নান (২৪) ও একই এলাকার মৃত হাছন আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৫)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে কিছু পাচারকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা সয়াবিনসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নিয়ে স্থানীয় আবুল বাশার হাজির মুরগির খামার সংলগ্ন ভিটা এলাকায় আছে। এমন খবরে টেকনাফ ক্যাম্পের র্যাব টহল দল একটি বিশেষ অভিযান চালায়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুজন পাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে ১টি জিপ গাড়িসহ ৮৯৫টি বোতলে ৪ হাজার ৪৭০ লিটার সয়াবিন, বিভিন্ন প্রকারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০ পিস ওষুধ ও ১০টি বস্তায় মোট ৫শ কেজি ময়দা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বাংলাদেশ থেকে কম মূল্যে ক্রয় করে উচ্চ দামে কক্সবাজার জেলার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে আসছিল।
মন্তব্য করুন