জাহিদুল ইসলাম জসিম, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে ৫ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

কাউনিয়ার হারাগাছ ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। ছবি : কালবেলা
রংপুরে ৫ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

রংপুরের কাউনিয়ার হারাগাছ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব নাজিরদাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন মরা তিস্তা নদীর ওপরে সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বর্ষার সময় ছোট নৌকায় নদী পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার। দুর্ভোগ লাগবে দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

প্রায় ১০ বছর আগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য তৈরি করেন বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে বাস কাঠ ও অর্থ সংগ্রহ করে মেরামত করে যাতায়াতের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সাঁকোটি অতিদ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে প্রতি বছরই মেরামত করতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

এদিকে ২০২১ সালে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়েনে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাশেই আরেকটি ব্রিজ তৈরির জন্য ইট সিমেন্টের সিঁড়ি ও অ্যাঙ্গেল দিয়ে ব্রিজের অবকাঠামো তৈরি করে রেখে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্রিজটির কাজ শেষ না হওয়ায় আগের বাশের সাঁকোটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন ব্রিজ না হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হারাগাছের চরাঞ্চলের ৫ গ্রামের মানুষের দুঃখ মরা তিস্তার এ শাখা নদীটি। হারাগাছ পৌরসভাসহ ৪ ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে মরা তিস্তা নদীটি। নৌকা আর বাঁশের সাকোই এলাকাবাসীর ভরসা। ভোটের আগে জন প্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্ররুতি দিলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে কথা হলে স্থানীয় মো. মোশারাফ হোসেন ও গাজিয়ার রহমান জানান, নদীর ওই পারে ২টি বাজার, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাদ্রাসা রয়েছে। সেতু না থাকায় সাধারণ মানুষ ও স্কুলপড়ুয়া শিশুদের যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়তে হয়।

মো. খালিলুর রহমান জানান, সেতু না থাকায় পার্শ্ববর্তী চিনাতুলি, ঠিকানার হাট, পূর্ব নাজিরদাহ, বল্লভবিষূ, ও গ্রামের শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ গ্রামগুলোতে আলু, ভুট্টা, ধান, পাট, গম, মরিচ ও বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। এসব কৃষিপণ্য হাট বাজারে নিতে হলে অনেক পথ ঘুরে যেতে হয় অথচ পূর্ব নাজিরদাহ ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে, সেই সাথে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্যে।

পূর্ব নাজিরদাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া জানান, সেতু না থাকায় স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করতে হয়। বিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রীরা জানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে খুব কষ্ট হয়। সবাই বলে নতুন সাঁকো হবে কিন্তু হয় না। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারাগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যার রাজু আহম্মেদ জানান, ব্রিজটির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বাকি কাজ আগমী এক মাসের মধেই শেষ করব। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ সংকটের কারণে কাজটি সঠিক সময়ে করতে পারি নাই। আশা করছি, নতুন বছরেই ব্রিজটি উদ্বোধন করতে পারব। ব্রিজটির কাজ শেষ হলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এর সুফল পাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টঙ্গীতে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু

কারাগারে অসুস্থ আ.লীগ নেতার মৃত্যু

বিপিএল: একের পর এক চমক ঢাকার, এবার দিল নতুন ঘোষণা

জুমার দিন মসজিদে গিয়ে ভুলেও যে ২ কাজ করবেন না

পাবনায় সংঘর্ষ, পরিচয় মিলল অস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবকের

আব্দুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে হামলা, আহত ১০

বাগেরহাটে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন 

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে স্থায়ীভাবে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

দ্বিতীয় ধাপে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা 

কামালকে দিয়েই শুরু হবে প্রত্যর্পণ : প্রেস সচিব 

১০

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহর’ সর্বশেষ তথ্য জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১১

কিছু ক্ষেত্রে মেয়েদের দিক থেকে ভুল হয়: মমতা শঙ্কর

১২

আরেকটি ফাটলরেখার সন্ধান গবেষকদের, ৬ মাত্রায় ভূমিকম্পের শঙ্কা

১৩

ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ল্যাম্পি আতঙ্কে খামারিরা

১৪

ব্রিসবেন টেস্টে ফেরা হলো না কামিন্স ও হ্যাজলউডের

১৫

ঢাকা থেকে এসে মা দেখেন আড়ায় ঝুলছে মেয়ের মরদেহ 

১৬

বিপিএল: সরাসরি চুক্তিতে যেসব বিদেশি ক্রিকেটার দল পেলেন

১৭

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: এইচআরডব্লিউ

১৮

মহাসড়কে পিকআপভ্যানে আগুন

১৯

শীত জেঁকে বসেছে তেঁতুলিয়ায়, তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে

২০
X