ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে উপজেলার সাতব্রীজ বাজার এলাকার রামনগর খেলার মাঠে রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম রেখে দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই মাঠেই চলছে বিটুমিন তৈরির কাজ। এ কারণে কালো ধোঁয়ায় ওই এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গ্রামের একমাত্র বড় এ মাঠ প্রায় তিন বছর ধরে দখলে থাকায় স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) ওই খেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের দুই–তৃতীয়াংশ জায়গায় ইটের কংক্রিট, বালু, মাটি, এক্সকাভেটর, বিটুমিনের ড্রাম স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিটুমিন গলানোর জন্য বানানো চুলা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আগুনের ধোঁয়া খেলার মাঠের আশপাশের বাড়িতে প্রবেশ করছে। সারা মাঠে কংক্রিট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
স্থানীয় সপ্তসেতু ক্রিকেট দলের পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটি পুরো গ্রামের একমাত্র বড় মাঠ। আমরা এখানে নিয়মিত খেলাধুলা করতাম। বর্তমানে ক্রিকেটের পিচের ওপর বালুর ঢিবি করে রাখা হয়েছে। মাঠের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল হয়ে গেছে। এখানে মালামাল রেখে দূর-দূরান্তের রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না।’
এলাকাবাসী ও ওই মাঠের খেলাপ্রেমী অনেকে বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে খেলার মাঠের বড় অংশ দখল করে রাখা হয়েছে। এখানে রাস্তার কাজের ইট, বালি, বিটুমিন, মেশিনসহ জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। অনেক সময় ধরে তারা বিটুমিন জ্বাল দেন। অনেক কালো ধোঁয়া হয়। এখানে কেউ খেলাধুলা করতে পারে না।
তারা আরও বলেন, ‘এখানে যারা কাজ করেন তাদের বারবার বলেছি যেন মালামাল সরিয়ে নেন। কিন্তু তারা সময়ক্ষেপণ করে এখানেই জিনিসপত্র রাখেন। রাস্তার কাজ হচ্ছে বহু দূরে, এখানে এসব রাখার যৌক্তিকতা নেই।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, ‘রাস্তার কাজে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার জন্য ঠিকাদার জায়গা নির্ধারণ করে থাকেন। এ বিষয়ে আমি তাকে কোনো নির্দেশনা দেইনি।
মন্তব্য করুন