বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশ জালিয়াতির মামলায় দেড় বছর আত্মগোপনে থাকার পর জামিন নিতে গেলে এ আদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি, দুদক) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ তৈরি ও দুর্নীতির অভিযোগে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর জেলা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল মমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী মামলা গ্রহণ করে বাদী আব্দুল মমিনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। মামলায় দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সচিব কার্তিক চন্দ্র দাসসহ শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও সাংবাদিক আব্দুল মজিদকেও আসামি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়ায় দুদক থেকে পৌর চেয়ারম্যান (পরবর্তীতে মেয়র) জাহাঙ্গীর ও পৌর সচিব কার্তিকের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। মামলাটি চলমান থাকাকালে আসামি জাহাঙ্গীর ও কার্তিকের পক্ষে আদালতে একটি স্থগিতাদেশ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখানো হয় যে, হাইকোর্ট দুদকের ওই মামলা স্থগিত করেছেন।
ওই দুই আসামির পক্ষে আব্দুল মজিদ নামে এক ব্যক্তি আইনজীবী হিসেবে হলফনামা আকারে আদালতে স্থগিতাদেশ জমা দেন। পরে সেই স্থগিতাদেশের বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, হাইকোর্ট অন্য একটি মামলার নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া স্থগিতাদেশ বগুড়ার আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন