চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাঁদপুরের লঞ্চ ও জাহাজগুলোর বদৌলতে কোটি টাকা আয়

চাঁদপুর লঞ্চঘাট। ছবি : কালবেলা
চাঁদপুর লঞ্চঘাট। ছবি : কালবেলা

নদীবেষ্টিত ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের লঞ্চ ও জাহাজগুলোর বদৌলতে কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। আর তাই নৌপথের এই রুটটিকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বন্দর কার্যালয়ের এক আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মনোরম পরিবেশ ও নিরাপদ নৌ-যাত্রায় আশীর্বাদ হচ্ছে চাঁদপুর জেলা। এখানকার ডাকাতিয়া, পদ্মা, মেঘনা ও ধনাগোদা নদীগুলো সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকিতে থাকায় সব জংশনেই এটি আমদানি-রপ্তানির নার্ভ। বিশেষ করে ঢাকা-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর, বরিশাল-চাঁদপুর ও ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মূল জংশন হচ্ছে চাঁদপুর।

এক তথ্যে দেখা যায়, চাঁদপুরের নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চ ও জাহাজগুলো হতে প্রতিবছর শুধু মালামাল পরিবহন চার্জ হিসেবেই ৩৫ লাখ টাকা আয় করছে বিআইডব্লিউটিএ। এমন হিসেবে গেল পাঁচ বছরে এই নৌপথে চাঁদপুরের আয় প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর তাই নৌপথের আয়ের এই আশীর্বাদকে কাজে লাগাতে নানা ইস্যু নিয়ে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ময়ূর-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. আজগর বলেন, সড়ক মহাসড়কের উন্নয়নে চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রী তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু যারা লঞ্চে যাওয়ার তারা নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা হিসেবে লঞ্চেই যাতায়াত করছে। তবে গুলিস্থান হতে সদরঘাট এলাকার সড়ক যদি যানজটমুক্ত রাখা যায়। তাহলে শুধু মালামাল পরিবহনই নয় বরং যাত্রী পরিবহনেও লঞ্চগুলো আশার আলো খুঁজে পাবে।

এসব বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকেন্দ্রীক সময়বাদে লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিকই রয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, কেবিনগুলোতে পানিসহ হাল্কা নাস্তার সুযোগ ও ভাড়া কিছুটা কম নিলে যাত্রী বাড়বে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এটা না করায় লঞ্চগুলোতে যাত্রীরা আসতে উৎসাহিত কম হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই রুটগুলোতে সব জংশনে চাঁদপুর একটা নার্ভ হিসেবে কাজ করে। তাই এখানকার লঞ্চ ও জাহাজগুলো হতে বছরে ৩৫ লাখ টাকা শুধু মালামালের কেরিং চার্জ হিসেবেই আমরা রাজস্ব পাচ্ছি। এই আয় বাড়াতে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফরিদগঞ্জের যাত্রীদের টার্গেট করে শিগগিরই ইচুলীঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে চাঁদপুর আধুনিক নৌ-বন্দর সম্পন্ন হলে ইলিশের বাড়ির এ জেলার নৌপথ অর্থনীতিতে দারুণ অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

৯ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

জাপানে সুনামির সব সতর্কতা প্রত্যাহার

ফ্ল্যাটে ঢুকে সাংবাদিককে পুলিশ কনস্টেবলের হাতুড়ি পেটা

জানা গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে লাথি মারা সেই ফুটবলারের পরিচয়

হামজাকে দলে পেতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব

খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা: টুকু

ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ৪ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মারা গেছেন

মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় বক্তার মৃত্যু

১০

বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

১১

আগামী জাতীয় নির্বাচন / বৃহত্তর সুন্নী জোটের সাথে একীভূত হচ্ছে প্রগতিশীল ইসলামী জোট

১২

সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, নিহত ১

১৩

রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন রেলের ১২ কর্মী

১৪

ঢাকা–১৯ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুহিউদ্দীন রাব্বানীর শোডাউন

১৫

তাপমাত্রা কমবে না বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৬

৩ লাল কার্ডের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনার ক্লাব

১৭

৮ পরিকল্পনা ঘোষণা তারেক রহমানের

১৮

দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৯

আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: মাসুদ সাঈদী

২০
X