সিলেটে এবার আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। আদালতের ১০ তলা ভবনের চারতলা থেকে শাকিল আহমদ নামে এক আসামি লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে পুলিশ প্রহারায় বেরিয়ে আসার পথে চার তলা ভবনের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শাকিল।
গুরুতর আহত শাকিল আহমদ (১৯) সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জকিগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন শাকিল। সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের হাত ফসকে আদালত ভবনের চার তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একই গ্রামের লুৎফর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শাকিল। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে স্থানীয় বদরুল ইসলাম মাস্টারের বাড়ির সামনের রাস্তার আসামি ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় আহতের চাচা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কারাগারে থাকা শাকিলকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালতের পিপি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শাকিল আহমদ অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতে শুনানিকালে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। সে নিজে নিজেই আদালতের কাছে জামিন চেয়েছিলেন। আদালতের বিচারক ও তার পক্ষে আইনজীবী মনোনীত করার জন্য নির্দেশ দেন। আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পর পুলিশের হাত ফসকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন