পাবনার সাঁথিয়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার মামলার রায় হয়েছে। এতে আরমান হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান হোসেন সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আরমান হোসেন বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। সে মেনে না নেওয়ায় অনেক সময় রাস্তাঘাটে হুমকি-ধমকি দিতেন। নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় সে একপর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু গ্রাম প্রধানদের আশ্বাসে সে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২২ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখ সকাল ৯টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় ওঁৎপেতে থাকা যুবক আরমান তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন।
পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার চার দিন পর তার বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে চার্জশিট গঠন হয়। আজকে এ রায় ঘোষণা করা হলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, মামলার দুই বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যাবজ্জীবন সাজা হওয়াতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে আপিলে এখানে সাজা কমে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান নোমান বলেন, এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়াতে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে ন্যায়বিচার পাবে।
মন্তব্য করুন