শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত সজিব মুন্সী (২৫) বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে। তিনি বিলাশপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য।
এ বিষয়ে নিহত সজিব মুন্সির ভাই সুমন মুন্সি বলেন, আমার ভাইকে বোমা মেরে নিষ্ঠুরের মতো মেরে ফেলেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
জাজিরা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল খান কালবেলাকে বলেন, সজিব একজন ভালো ছেলে ছিল। সে বিলাশপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সজিবের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের দুই চাচাত ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে ওই দিন বিকেলে একই বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট করা হয়। এতে একজনের হাত ভাঙাসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম টহলরত থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ সময় ককটেলের আঘাতে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবর গ্রুপের সমর্থক বিলাশপুর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী সজিব মুন্সী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সজিব মুন্সীর পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠায়। আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সজিব মুন্সি।
মন্তব্য করুন