দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিন সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ।
বেলা ৩টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৫৮ শতাংশ রেকর্ড করা হয়।
এর আগেও শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। আরও ৪/৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। গত দুদিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।
তীব্র গরমের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।
এদিকে তীব্র দাবদাহে রোববার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে ইউনিসেফ চলতি দাবদাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অভিভাবকরা।
মন্তব্য করুন