গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরূপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা।
লালমনিরহাটে পাটগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছের। এ যেন এক অপরূপ ও মনোমুগ্ধকর ভালোবাসার অনুভূতির ছোঁয়া। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। লক্ষ্য করা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ।
দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, বহুদূর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখা যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগছে। এই ফুল এত সুন্দর কাছ থেকে না দেখলে এর সৌন্দর্য উপভোগ কার সম্ভব হত না।
পাটগ্রাম বাজারে গাছ বিক্রেতা আসাদ নামে এক নার্সারির মালিক জানান, তার নার্সারিতে প্রচুর পরিমাণে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রয়েছে। উপজেলার পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেংকান্দা এলাকায় তার একটি নার্সারি আছে। তার নার্সারিতে ১০০-৪০০ টাকা দামের কৃষ্ণচূড়ার চারা গাছ রয়েছে। বিভিন্ন জাতের ফুলসহ ফলদ ও বনজ গাছের চারা তার নার্সারিতে আছে। তিনি সিলেট, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নতমানের গাছের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে দেশীয় পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করেন।
পাটগ্রাম উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল রহমান জানান, কৃষ্ণচূড়া ফুলের জাত মূলত এক প্রকার হয়ে থাকে যেটি লাল রঙের।
মন্তব্য করুন