ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ফেনীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলীয় নদীগুলোতে পানি বাড়েনি। বিকেলের পর রিমাল আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট সদস্য, সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
এরই মধ্যে রিমালের মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ফেনী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও সোনাগাজী উপকূলীয় উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের এই ০১৭৬৬-৫৯৮২৫৯ নম্বরে কল করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সোনাগাজী উপজেলার ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোনাগাজীর ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নকে (চরদরবেশ, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী ও আমিরাবাদ) ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঠে থাকবে দুই হাজার সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক, পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
জরুরি ত্রাণকার্যে ব্যবহারের জন্য ৪০ লাখ টাকা ও ৫০ টন চাল গচ্ছিত রাখা হয়েছে।
রেডক্রিসেন্ট সোনাগাজী উপজেলার টিম লিডার শান্তি রঞ্জন কর্মকার বলেন, রেডক্রিসেন্টের ১শ টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি টিমে ২০ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা।
চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের পাশাপাশি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন