বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দাবদাহে হাট-বাজারে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে

তালের শাঁস কিনতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা। ছবি : কালবেলা
তালের শাঁস কিনতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুর বিরামপুরে তীব্র দাবদাহের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমের হাত থেকে দেহ সতেজ রাখতে ভিড় জমাচ্ছেন কচি তালের শাঁস কিনতে। মানুষ দেহকে ক্লান্তিহীন রাখতে পুষ্টিগুণে ভরা তালশাঁস খাচ্ছেন। গ্রীষ্মের এই দিনে কচি তালের শাঁস জনপ্রিয় একটি খাবার। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা আগাম এসব তালের শাঁস এখন পাওয়া যাচ্ছে সব জায়গায়।

স্থানীয় হাটবাজার, বিভিন্ন সড়কের মোড়ে কচি তালের শাঁস বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। এখন কচি তালের ভরা মৌসুম হওয়ায় স্থানীয়ভাবে স্বল্প আয়ের মানুষ তালের শাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। কাঁচা তালের প্রতি পিস আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৬ টাকা করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিরামপুর রেলগেট, জনতার ব্যাংক মোড়, কলাবাগান, নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, ঢাকা মোড়, কলেজ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে কচি তালের শাঁসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ফল বিক্রেতারা।

এসব দোকানে ছোট-বড় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। বিশেষ করে স্থানীয় বাজারগুলোতে তালের শাঁস খুঁজতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এক সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তালগাছের দেখা মিললেও কালের বিবর্তনে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী এসব তালগাছ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার রেলগেটে তালের শাঁস বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিন ৬-৮ হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে তার।

জনতা ব্যাংক মোড়ে তালশাঁস বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন জানান, গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ও জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর থেকে কচি তাল সংগ্রহ করে এনেছি। খুচরাভাবে তালের প্রতি শাঁস-আঁটি বিক্রি করা হচ্ছে ৬-৭ টাকা করে। আরেক শাঁস বিক্রেতা শাহিনুর ইসলাম জানান, বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে গিয়ে তালগাছের মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে কাঁচা তাল কিনে খুচরা বিক্রি করছি। গরমের পরিমাণ বেশি হওয়ায় খোলাবাজারে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার জনতা ব্যাংক মোড়ে শাঁস বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেনের দোকানে শাঁস কিনছিলেন স্কুলপাড়া গ্রামের লাবনী খাতুন। তিনি জানান, তালের শাঁস খেতে খুবই মজাদার। গরমে শাঁস খেতে ভালো লাগে। প্রায়ই আমি এ শাঁস কিনে খাই। গরমে শাঁস খেলে স্বস্তিও লাগে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাখি বলেন, তালের শাঁসের প্রায় ৮০ শতাংশই পানি। এতে রয়েছে কার্বহাইড্রেট, অল্প পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট। রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক ইত্যাদি। আরও রয়েছে ফাইবার এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যদিকে কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করে। মৌসুমে স্বাস্থ্য উপকারিতায় বেশি করে কচি তালের শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১০

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১১

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১২

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৩

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

১৪

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

১৫

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১৬

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

১৭

অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন

১৮

চার দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক

১৯

ওসির বিরুদ্ধে দুর্বল ধারার অভিযোগ, আ.লীগ নেতার ৩ সন্তানের জামিন

২০
X