বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দাবদাহে হাট-বাজারে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে

তালের শাঁস কিনতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা। ছবি : কালবেলা
তালের শাঁস কিনতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুর বিরামপুরে তীব্র দাবদাহের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমের হাত থেকে দেহ সতেজ রাখতে ভিড় জমাচ্ছেন কচি তালের শাঁস কিনতে। মানুষ দেহকে ক্লান্তিহীন রাখতে পুষ্টিগুণে ভরা তালশাঁস খাচ্ছেন। গ্রীষ্মের এই দিনে কচি তালের শাঁস জনপ্রিয় একটি খাবার। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা আগাম এসব তালের শাঁস এখন পাওয়া যাচ্ছে সব জায়গায়।

স্থানীয় হাটবাজার, বিভিন্ন সড়কের মোড়ে কচি তালের শাঁস বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। এখন কচি তালের ভরা মৌসুম হওয়ায় স্থানীয়ভাবে স্বল্প আয়ের মানুষ তালের শাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। কাঁচা তালের প্রতি পিস আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৬ টাকা করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিরামপুর রেলগেট, জনতার ব্যাংক মোড়, কলাবাগান, নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, ঢাকা মোড়, কলেজ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে কচি তালের শাঁসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ফল বিক্রেতারা।

এসব দোকানে ছোট-বড় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। বিশেষ করে স্থানীয় বাজারগুলোতে তালের শাঁস খুঁজতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এক সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তালগাছের দেখা মিললেও কালের বিবর্তনে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী এসব তালগাছ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার রেলগেটে তালের শাঁস বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিন ৬-৮ হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে তার।

জনতা ব্যাংক মোড়ে তালশাঁস বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন জানান, গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ও জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর থেকে কচি তাল সংগ্রহ করে এনেছি। খুচরাভাবে তালের প্রতি শাঁস-আঁটি বিক্রি করা হচ্ছে ৬-৭ টাকা করে। আরেক শাঁস বিক্রেতা শাহিনুর ইসলাম জানান, বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে গিয়ে তালগাছের মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে কাঁচা তাল কিনে খুচরা বিক্রি করছি। গরমের পরিমাণ বেশি হওয়ায় খোলাবাজারে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার জনতা ব্যাংক মোড়ে শাঁস বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেনের দোকানে শাঁস কিনছিলেন স্কুলপাড়া গ্রামের লাবনী খাতুন। তিনি জানান, তালের শাঁস খেতে খুবই মজাদার। গরমে শাঁস খেতে ভালো লাগে। প্রায়ই আমি এ শাঁস কিনে খাই। গরমে শাঁস খেলে স্বস্তিও লাগে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাখি বলেন, তালের শাঁসের প্রায় ৮০ শতাংশই পানি। এতে রয়েছে কার্বহাইড্রেট, অল্প পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট। রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক ইত্যাদি। আরও রয়েছে ফাইবার এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যদিকে কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করে। মৌসুমে স্বাস্থ্য উপকারিতায় বেশি করে কচি তালের শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরাজদের পাশে থাকছেন না সিমন্স

মুরাদনগরের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব

পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা : আমিনুল হক

আবারও মার্কিন সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা

কিয়েভে ড্রোন হামলার রেকর্ড রাশিয়ার

জামায়াতে যোগ দিলেন জাপা নেতা

শুটিং সেটে হঠাৎ অসুস্থ স্বস্তিকা, কী হয়েছিল? 

অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন আর নেই 

যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব : নাহিদ

স্নাতকোত্তরে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেলেন ২৫০

১০

নুর-রাশেদসহ গণঅধিকারে ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

১১

নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ

১২

‘রাজনীতি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’

১৩

ছুটির দিনে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

১৪

ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের গোপন বৈঠক

১৫

বিদেশি অস্ত্রসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

১৬

ইসরায়েলি হামলায় মারা গেলেন আরও এক ফিলিস্তিনি ফুটবলার

১৭

আবারও জয়ার সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করলেন অমিতাভ বচ্চন

১৮

সৌরজগতে শনাক্ত হলো রহস্যময় ধূমকেতু

১৯

উড়াল থেমেছিল চিকিৎসায়, জীবন থামল সড়কে

২০
X