‘নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিলে ভোটারদের হাতুড়িপেটা করা হবে’ এমন হুমকির অভিযোগ উঠেছে বরগুনা তালতলী উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়াও তিনি পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি ঘোড়া প্রতীক প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চান এবং সভা সমাবেশে বক্তব্য দেন। গত তিন দিন আগে তিনি তার এলাকার ভোটারদের রেজবি-উল কবিরের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেন কিন্তু ভোটাররা তাতে রাজি নয়। তাতে ক্ষিপ্ত হন আব্দুর রাজ্জাক। পরে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থকদের হাতুড়িপেটার হুমকি দেন।
চন্দনতলা গ্রামের নাশির হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান রাজ্জাক আমাকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। আমি ভোটকেন্দ্রে গেলে আমাকে তার হাতুরি বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেবে। তিনি আরও বলেন, আমার মতো এমন বেশ কয়েকজনকে চেয়ারম্যান হুমকি দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার ঘোড়া প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক ও কর্মী। তিনি পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের তার পছন্দের ঘোড়া প্রতীকে ভোট না দিলে ভোটারদের হাতুড়িপেটা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হবে।
পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার আমার সমর্থক কিন্তু তিনি ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন