পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার পরেও রোধ করা যাচ্ছে না ভাঙন। প্রতি বছর নদীভাঙন রোধে নেওয়া কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না।
উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকায় নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ ব্লক দ্বারা স্থায়ীকরণ করার জন্য খরচ হচ্ছে ৪৭ কোটি টাকা যা পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা আছে। বর্তমানে ৩০০-৫০০ মিটার জায়গাজুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফালানো হচ্ছে যাতে টেকসই থাকে। জিও ব্যাগ প্রকল্পে হচ্ছে আনুমানিক ৮৫ লক্ষ টাকা।
নদীভাঙনে ভুক্তভোগীরা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছ্বাস বেড়িবাঁধগুলো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় ইতোপূর্বে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থায় কাজে আসছে না। ভাঙনে ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে।
মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকার বেল্লাল হোসেন জানান, এই এলাকাটা অনেক বড় ছিল। কয়েক বছর নদী ভাঙনে বেশকিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা জানান, বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। কয়েক জায়গা দিয়ে জিও ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়ত ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার আগে বেড়িবাঁধগুলো পুনঃনির্মাণ করতে হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা করার চেষ্টা করছি। ব্লকের প্রজেক্ট দেওয়া আছে বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।
মন্তব্য করুন