কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চানখাঁরপুল গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ২২ এপ্রিল

ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় তিন অভিযুক্তকে রিমান্ডে নেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন প্রামাণিক ও সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত আগামী ২২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত আরশাদ হোসেন ও ইমাজ হোসেন প্রামাণিককে যথাক্রমে ২ মার্চ ও ৩ মার্চ একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, বাড্ডা রামপুরা এলাকার ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা অবস্থায় এক কিশোরকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এসআই চঞ্চল কুমার সরকারকে ২৭ ফেব্রুয়ারি একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, বিএম সুলতান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম সরদার ও গাজী এমএইচ তামিম।

শুনানি শেষে এক ব্রিফে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালত যে দুই মাসের সময় দিয়েছে তার অনেক আগেই আমাদের তদন্তের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি আজকে যে তিন পুলিশকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল তার মধ্যে শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসেন অসম্ভব রকমের এগ্রিসিভ একজন অফিসার ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মুখ চেপে ধরার যে ছবি সেটি তার ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সময় চাইলে, আদালত একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

তিনি বলেন, অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও তথ্য প্রমাণাদি পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রকৃত সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি প্রশাসনের চাপে। পাশাপাশি সে সময় তারা যে গুলি খেয়ে মারা গেছে সে বিষয়টিও ডেথ সার্টিফিকেটে লিখতে দেওয়া হয়নি। তাদের যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই এটিও একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম আহতদের দেখতে তখন তারা আমাদের জানিয়েছিল, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রথম যখন হাসপাতালে ভিজিটে এসেছিল তখন তিনি বলে গিয়েছিলেন, নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ। অর্থাৎ কোনো চিকিৎসা হবে না এবং কাউকে রিলিজ করবেন না, যাতে কেউ বাইরে যেতে না পারে। তার এ নির্দেশনার কথা সেখানকার রোগী ও ডাক্তাররা আমাদের জানিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালদ্বীপে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেতা সিদ্দিক

ফিরছেন দীপিকা 

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

নিজেই বাড়াচ্ছেন স্ট্রোকের ঝুঁকি, জানুন কীভাবে

ধর্ষণের অভিযোগের পর চাপের মুখে বিয়ে

নেতানিয়াহু ও নিজেকে ‘যুদ্ধের নায়ক’ বললেন ট্রাম্প

সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

মাছ চাষের নামে বাঁধ, পানির তলে শত বিঘা আমন ধান

১০

ঘরে বসেই ঘন ও স্বাস্থ্যবান চুল পেতে মেনে চলুন এই ৭ টিপস

১১

সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা 

১২

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি

১৩

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা, আ.লীগ নেতা মানিক গ্রেপ্তার

১৪

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-আতিক, রিমান্ডে কিরণ

১৫

কক্সবাজারে মাহিন গ্রুপের ২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

১৬

ভক্তদের চমকে দিলেন হানিয়া আমির

১৭

রক্তের দাগ অনুসরণ করে মিলল অটোচালকের মরদেহ

১৮

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ গতিশীল হোক

১৯

ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের

২০
X