কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশব্যাপী কোটা আন্দোলন : প্রয়োজনে কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হবে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক। ছবি : সংগৃহীত
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক। ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। দেশব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ জনগণ। বিপাকে পড়েছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুকরা। অনেক কলেজে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে শিক্ষার্থীদের এসএমএস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সংঘাতের কারণে আতঙ্কে অনেকেই কলেজে যেতে পারছে না।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে কোনো শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একাদশে ভর্তি নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, দেশব্যাপী সংঘাতের কারণে আমরা আজ বৃহস্পতিবার ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে কলেজ বন্ধ থাকলেও অফিস খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাইলেই ভর্তি হতে পারবে।

তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। তবে কেউ যদি আতঙ্কের কারণে বা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে ভর্তি হতে না পারে, তবে প্রয়োজনে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হবে। সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।

এরমধ্যে গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন।

এদিকে পরিস্থিতির যেন আরও অবনতি না হয় সে জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পাশাপাশি সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে বুধবার দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। এতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অনেকেই আহত হয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও প্রকাশ

আ.লীগ নিষিদ্ধের সমাবেশে স্প্রে ক্যানন দিয়ে ছিটানো হচ্ছে পানি

কলা বাগান থেকে ২২ ককটেল উদ্ধার

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন দাবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

মানবতার শত্রু আ.লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ ও বিচার করতে হবে : হেফাজতে ইসলাম

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ চলছে

কাশিমপুর কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী

সীমান্তে পুশ‌ ইন, মৌলভীবাজারে এখন পর্যন্ত আটক ৫৯ 

হামলার আশঙ্কা, ভারতের বন্দর-টার্মিনালে নিরাপত্তা জোরদার

১০

সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে জিয়া মঞ্চ থেকে বহিষ্কার

১১

পারভেজ হত্যায় টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে

১২

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে নবম শ্রেণির ছাত্র আটক 

১৩

রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের সাবেক পিএ টিটু গ্রেপ্তার

১৪

ভারতের ৭৭ ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান

১৫

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না শহীদ সুজন মাহমুদের

১৬

বিলের মধ্যে পড়েছিল যুবদল কর্মীর মরদেহ

১৭

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

১৮

তারেক রহমানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর বিএনপির নেতাদের সাক্ষাৎ 

১৯

শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

২০
X