বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) হলগুলোতে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেলেও কমেছে মান। পাঙ্গাশ মাছের দাম ৫৫ টাকা, রুই মাছ ৬৫ টাকা, রুই মাছের ডিম ৫০ টাকা, মৃগেল ৫০ টাকা ও ডিম ৪০ টাকা।
বাইরের হোটেলে এগুলো খেতে গেলে দাম পড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সে তুলনায় খাবারের মান তেমন ভালো হয় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। একই মূল্যে হলের চেয়ে বাইরের হোটেলের খাবারের মান অনেক ভালো মনে করছেন তারা।
তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী খাবারের পুষ্টিগুণও নিশ্চিত করতে পারছে না হল ক্যান্টিনগুলো। তারমধ্যে শেরেবাংলা হলের বাবুর্চি দুজন। ৫৫০ জনের রান্না এই দুজনই করেন। এ হলে খাবারের মান সবচেয়ে তলানিতে।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের ক্যান্টিনে খাবারে ঠিকমতো তেল-লবণ দেওয়া হয় না। রান্না করা হয় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে। তালিকায় নেই কোনো ভিন্নতা। প্রায় প্রতিদিন একই মেনু। খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিত না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে পড়াশোনায়ও ব্যাঘাত ঘটছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন মালিক সাকিব বলেন, ‘বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। ডিমের দাম আগে কখনো এত টাকা ছিল না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়, যার ফলে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে।’
শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিনের মালিক বিল্লাল বলেন, ‘খাবারের মান ভালো করার চেষ্টা করব ১ তারিখ থেকে।’ কী কারণে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে পাঙ্গাশ মাছ কিনতাম ১২০ টাকা যা বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। কাঁচাঝাল কিনতাম আগে ৭০-৮০ টাকায়, এখন বেড়ে ৩০০ টাকা। সব জিনিসের দাম বেশি। এজন্য আমার করার কিছু নেই।’
ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী প্লাবন বিশ্বাস বলেন, খাবারের মান খুবই খারাপ। অনেক সময় মাছ মাংস কাঁচা কাঁচা মনে হয়, বমিও এসে যায়। আর দাম বৃদ্ধির কথা তো আছেই। আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা মধ্যবিত্ত। যদি এক দিন খেতে ১০০ টাকার উপরে যায়, তাহলে কীভাবে চলব।’
আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান জানান, খাবার খেয়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারের মান বৃদ্ধি করা দরকার। দামের তুলনায় মান ভালো নেই।
শেরেবাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ আবু জাফর মিয়া বলেন, কীভাবে খাবারের মান বাড়ানো যায় আমরা ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে কথা বলব। তাদের সমস্যা কোথায় সেটা নিয়েও আলোচনা করব।
মন্তব্য করুন