জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘সরকারের লক্ষ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন করা’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় কথা বলেন ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি : কালবেলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় কথা বলেন ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি : কালবেলা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়ন করাই এ সরকারের লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের আয়োজনে ’গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ হয়ে এসেছে। আমরা যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলো দেখি, তখন সেগুলো আমাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের সবার দায়িত্ব নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান ও গাণিতিক দক্ষতার কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ করতে পারলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সামাজিক আচরণের বিকাশে ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা এতদিন শাব্দিক স্বাধীনতা পেলেও অধিকার পাইনি বলে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান দেখতে হয়েছে। আমরা যে না বলা কথা বলতে পারিনি, সেটাই দর্শন হ‌ওয়ার কথা। ২০২৪-এর অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পরিবর্তনে সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছিল বলে রক্তক্ষয়ী ২৪ দেখতে হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার যাতে আর কখনো লঙ্ঘন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে স্থায়ী সমাধানে সবার এগিয়ে আসতে হবে।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে অনেক বিষয়ের সংস্কার হচ্ছে। এখন গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের দার্শনিক ভিত্তি কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন। আমরা সবাই একসাথে ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন দেশের সংস্কারে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

মূল প্রবন্ধ পাঠে সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ ম‌ঈনুল আলম নিজার বলেন, আড়াই হাজার বছর আগের গণতন্ত্র দিয়ে আমাদের দেশ চলছে। ফলে প্রত্যেক বছর নির্বাচনের সময় আমাদের দেশে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এখন সংবিধানকে জনগণের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে জাতির প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকা উচিত। এছাড়া আমাদের উচিত শ্রেণি এবং গোষ্ঠীর ধারণা থেকে বের হয়ে আসা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মানুষের ভাগ্য ন্যায্যতা ও সাম্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।

অনুষ্ঠানে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া, অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন তালুকদার প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিএনজি অটোরিকশা রক্ষায় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে লড়ে গেলেন চালক

প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরব যাচ্ছেন না, যাবে প্রতিনিধি দল

রোমে ১৬ বাংলাদেশির অমানবিক বসবাস, মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

এক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

আগামী নির্বাচনে আ.লীগ-জাপার অংশগ্রহণ নিয়ে আখতারের বার্তা

গরুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ গেল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের

তারেক রহমান কবে ফিরছেন, জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ

সাফ অ্যাথলেটিক্সেও হতাশা, হিটই শেষ করতে পারলেন না শিরিন

ইয়ামালের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রিয়াল মাদ্রিদ

ওমরাহ যাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম করল সৌদি

১০

বিএনপির ২০০ প্রার্থী চলতি মাসে পাচ্ছেন ‘সবুজ সংকেত’

১১

পাকিস্তানে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

১২

কালশীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৩

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতার হামলা

১৪

বিশ্ববাজারে আবার চাঙা হচ্ছে স্বর্ণের দাম

১৫

অতীতের মতো আবারও বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্বে লিপ্ত : মঞ্জু

১৬

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ঘোষণা স্থগিত

১৭

পাশের দোকানে ক্রেতা বেশি, মালিককে মারধর অন্য ব্যবসায়ীর

১৮

গোয়ালঘরে আগুন, কৃষক অগ্নিদগ্ধ

১৯

মিষ্টিকুমড়া চাষে কৃষকের মুখে মিষ্টি হাসি

২০
X