চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের মারধর, শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ১৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফুড সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মাহফুজ হাসান আকাশকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত আরও চার শিক্ষার্থী মো. জাবের ১ বছর বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, মো. রশিদ শাবাব শুভ, তানজিম মো. সিয়াম ইকবাল ও মো. মেহেদী হাসান ৬ মাস বহিষ্কার ও ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম শিহাবকে একই ধরনের অপরাধে স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাজেদ-উল-ইসলাম সিফাত ৬ মাস বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, মো. শাহেদুল ইসলাম ৬ মাস বহিষ্কার ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিফাত উল্ল্যাহ জিলান, মো. মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, আসিফ আল হাসান, মো. ইলিয়াস আল জাবের, তাইদুল ইসলাম তপু, মো. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, নাজমুস সাদাত তৌহিদ, আবুল হাসান ফাহাত, মো. শাহরুখ খান ও মো. বেলাল হোসেন; প্রত্যেককে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই অনুষদের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজুল জান্নাহ ওয়াসীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট আবদুল্লাহ আল নোমান হলে এবং ১৯ নভেম্বর টিভি রুমে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এমএস শিক্ষার্থী অভিষেক নন্দী ও মো. আশিকুল ইসলাম রানার ছাত্রত্ব গত ১৮ মার্চ বাতিল করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া এবং কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ থাকবে না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন