দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা অবশেষে ক্লাসে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালীর দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। আলোচনার ভিত্তিতে ক্লাস চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করেন সবাই।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে—ক্লাস ও তদন্ত কার্যক্রম একসঙ্গে চলবে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তবে শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার সম্পন্ন করতে হবে। আপাতত ক্লাস বর্জনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস বন্ধ থাকায় শুধু একাডেমিক ক্ষতিই নয়, মানসিকভাবেও আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। ল্যাব, প্রজেক্ট, রিসার্চ—সব থমকে ছিল। সেশনজটের ভয়াবহতা বাড়ছে, ক্যারিয়ারের পরিকল্পনাও এলোমেলো হয়ে গেছে।
তবে ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অনেকদিন পর আবার ক্যাম্পাসে ফিরতে পারব—এই অনুভূতি ভাষায় বোঝানো কঠিন। আশা করছি, এখন থেকে সব স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ১৬০ দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে আবার প্রাণ ফিরল কুয়েট ক্যাম্পাসে।
মন্তব্য করুন