খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি কীভাবে তরুণরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সময় মূলধারার গণমাধ্যম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জোরালো ভূমিকা রেখেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে ‘জুলাই জাগরণ; আমরাই মিডিয়া’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সবসময় ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে, যা ইতিবাচক। তবে এগুলোর মাধ্যমে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন না করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একতা হারালে জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে যাবে। তাই গুজব, চরিত্র হনন ও মব সৃষ্টির মতো ঘটনার বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন থটস বিহাইন্ড দ্য কেইউ’র প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেইউ ইনসাইডার্স’র প্রতিনিধি আল মামুন। জুলাই আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহের ভূমিকা তুলে ধরেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আল শাহরিয়ার, সাঈফ নেওয়াজ ও মো. মুহিব্বুল্লাহ।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন থটস বিহাইন্ড দ্য কেইউ’র প্রতিনিধি কাজী রিফাত মোর্শেদ, কেইউ ইনসাইডার্স’র প্রতিনিধি জোহরা বনানী ও কেইউ টকিস’র প্রতিনিধি তাইয়েবা জামান নৈঋতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফারজানা জাহান ও তৌকির জামান শুভ।
মন্তব্য করুন