

মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রিতা রায় বলেছেন, শিক্ষা আমাদের জীবনে সুযোগের দরজা খুলে দেয়। কিন্তু সমাজে আসল পরিবর্তন আনেন তরুণরা। তাদের দৃঢ় সংকল্প, কল্পনাশক্তি আর নেতৃত্ব সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার। মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে দেওয়া এক বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন রিতা রায়ের নেতৃত্বে মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সফরে এসেছিলেন। সফরে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কীভাবে তরুণরা তাদের জীবনকে আরও ভালোভাবে গড়তে পারে, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন রিতা।
তিনি বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বৈশ্বিক নাগরিকত্ব, সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও ভাবনার মধ্যে মিল রয়েছে। আমরা চাই তরুণদের ক্ষমতায়ন।
মাস্টারকার্ডের এই প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ। তিনি বলেন, এই সফরটি দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ লক্ষ্য ও সহযোগিতার প্রতীক। তিনি আরও বলেন, মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশন এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য এক। আমরা শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের শক্তিশালী করতে কাজ করছি। আমরা এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই, যারা সমাজে এবং বিশ্বে নতুন সম্ভাবনার পথ দেখাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী, ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শামেরান আবেদ। আর মাস্টারকার্ডের এই প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ডগ কাসামবালা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও গ্লোবাল কন্ট্রোলার লিটসা পপোভিচ, চিফ প্রোগ্রাম অফিসার পিটার মাতেরু এবং পিএএনএ প্রোগ্রামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. সেগেনেট কেলেমু।
মন্তব্য করুন