বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনজন শিক্ষক উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। অবকাঠামো থেকে শুরু করে হয়নি চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়ন। শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যরা বড় বড় প্রত্যাশার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত করেননি বাস্তবায়ন। তাই, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার ছন্দ মিলিয়ে বলেছেন, ১২টি বছর পার হয়ে গেল কেউ কথা রাখেনি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) একযুগে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে। আবার পাঠদান কক্ষ নেই পর্যাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমে জমি অধিগ্রহণ ও ভিত্তি প্রস্তর পরবর্তী ভবন পর্যন্তই অবকাঠামোগত উন্নয়ন। পরে তেমন কোনো বড় অবকাঠামো হতে দেখা যায়নি। হয়নি নতুন করে কোনো একাডেমিক ভবন। এ ছাড়া নেই অডিটোরিয়াম, পাকা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ভালো কোনো পরিবেশ। আর আবাসন সংকট তো আছেই।
উপপ্রধান প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন জানান, অধ্যাপক ড. ছাদেুকল আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৯ সালে আমরা দ্বিতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেটা তোয়াক্কা করা হয়নি। পরে ফিজিবিলিটি টেস্ট করার নিয়ম আসলে সেটা আরও জটিল হয়ে যায়। ২০২২ সালের দিকে পাঠালে তা কয়েক মাসের মধ্যে ফেরত পাঠায় ইউজিসি। পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা ছিল, সেজন্য ফেরত পাঠানো হয় বলে জানানো হয়।
প্রকৌশলী ও প্রকল্প দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, একটি প্রকল্প কাজ চলমান থাকলেও অন্য আরেকটি প্রকল্প আনা যায়। কিন্তু সেটি আনার জন্য বিশেষ অবদান রাখা দরকার কিন্তু সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের সেটি ছিল না।
বরিশাল বিভাগের এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ২০১১ সালে। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি চারটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ২৫টি বিভাগ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান। ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট তিনজন উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য বিদায়ী ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করেন ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। তার সময়ে গ্যারেজ, স্কুল ভবন ছাড়া হয়নি চোখে পড়ার মতো কিছুই। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেয়েছেন পদোন্নতি।
এর আগে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. মো. হরুনর রশিদ খান ও ড. এস এম ইমামুল হক। তারাও তেমন কোনো উন্নয়ন করে যাননি বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেমন প্রত্যাশা নতুন উপাচার্যের কাছে থাকে, তেমন প্রত্যাশা তো পূরণ হয় না বরং পূর্বের উপাচার্যের চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দিন দিন যেন সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। তাইতো শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, কতজন এলো গেল কেউ কথা রাখেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুচ্ছ ভবনের মধ্যে প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনে ২৫ বিভাগ পাঠদানের কার্যক্রম চলছে। অনেক বিভাগের ৬ থেকে ৭টি ব্যাচের জন্য রয়েছে একটি মাত্র পাঠদান কক্ষ। তবে সেটিও কাগজ-কলমে না, মৌখিকভাবে। স্মাতকের চারটি ব্যাচ এবং স্মাতকোত্তর এর ২টি মোট ৬টা ব্যাচের পাঠের কার্যক্রম চলে এই একটি পাঠদান কক্ষে। এরইমধ্যে দর্শন বিভাগে সেই একটি কক্ষও তাদের নির্ধারিত নেই। যদি কোনো ব্যাচের ক্লাস বা পরীক্ষা থাকে, তাহলে অন্য ব্যাচদের অপেক্ষা করতে হয়। প্রায়ই যখন পাঠদানের সময় দেওয়া থাকে তখন বিভাগে গেলে দেখা যায়- যে কোনো একটা ব্যাচের পাঠদান বা পরীক্ষা চলছে। অনেক সময় দুই বিভাগের একটি মাত্র পাঠদান কক্ষ ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবার একটি কক্ষে অনেক বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া হয়। পাঠদান কক্ষ সংকটের কারণে যখন কোন ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তখন একদিনেই নেওয়া লাগে কয়েকটি ব্যাচের পরীক্ষা। ফলে সময় এবং পরীক্ষার সিডিউল জটিলতার সৃষ্টিতে পরীক্ষার রুটিনে শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়।
অনেক বিভাগে পাঠদান বন্ধ থাকে। আর যদিও হয় দেখা যায় দিনে একটা বা সর্বোচ্চ দুইটা ক্লাস। একটা ব্যাচের পাঠদান বা পরীক্ষা থাকার কারণে প্রায় দেখা যায় শিক্ষকরা পাঠদানের সময় বেধে দেওয়ার পরও বিভাগে গিয়ে ফেরত আসতে হয়।
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিল আফরোজ খানম জানান, এই অনুষদের প্রতিটি বিভাগের স্ব স্ব কক্ষ রয়েছে। তারপরেও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দুটি কক্ষ ব্যবহার করা যায়। আপাততো কার্যক্রম ভালোভাবে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো বা একাডেমিক ভবন প্রয়োজন যেটা সবার জানা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, এসকল সংকট নিরসনে সকলকে নিয়ে কাজ করবেন তিনি।
শিক্ষক সংকট প্রকোপ
এখানে অধিকাংশ বিভাগে দেখা যায়, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল শিক্ষক। গড়ে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একজন শিক্ষক। যেখানে ৪৫৩ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ছাড়কৃত ২১০ জন। তারমধ্যে পাঠদান নিচ্ছে বর্তমানে ১৬৫ জন। বাকি শিক্ষকরা রয়েছেন শিক্ষা ছুটিতে। কক্ষ সংকটে অনেক সময় শিক্ষকরা নিজের বসার স্থানও পায় না। একটা ছোট রুমে পাঁচ-ছয় জন শিক্ষককে গাদাগাদি করে বসতে হয়। বেশ কিছু শিক্ষক বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়ার কারণে পাঠদানের শিক্ষক সংখ্যা কমে যায়। তিন শিক্ষক নিয়েই চলছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ যেখানে ছয় ব্যাচের পাঠদান কার্যক্রম চলমান।
এ ছাড়া ৬ থেকে ৭টি ব্যাচের বিপরীতে পাঠদান করাচ্ছে প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে চারজন শিক্ষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আছে ছয়জন জন, রসায়ন বিভাগে সাতজন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে চারজন, উপকূল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫ জন ও লোকপ্রশাসন বিভাগে ৬ জন ও ইতিহাস বিভাগে চারজন শিক্ষক। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে ছুটিতে রয়েছেন অনেক শিক্ষক। ফলে, সেশনজটের হুমকিতে শিক্ষার্থীরা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন রয়েছে আক্ষেপ, তেমনি সেশনজটের জন্য রয়েছে অনেক হতাশা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই হতাশার কথা জানান দেয়। অনেকে আবার আত্মহত্যার কথা বা জীবন জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এমন মন্তব্য করেন।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে আমি যোগদান করেছি। যোগদান করেই ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছি যাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। অন্য একটি সূত্র বলছেন, কয়েকদিন আগে তারা জানেন ১৩টি বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। এদিকে সেমিস্টারের ফলাফল দিতেও লাগছে ৫ থেকে ৬ মাস। কারণ, কিছু সংখ্যক শিক্ষক মিলে অনেকগুলো ব্যাচের খাতা দেখতে হয়। সে কারণে পরবর্তী সেমিস্টারের পরীক্ষাও দেরি হয় আর সেশন সংকটে পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
হলের আবাসন সংকট
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ছেলেদের পাঁচতলা বিশিষ্ট দুইটি এবং মেয়েদের পাঁচতলা বিশিষ্ট দুইটি আবাসিক ভবন রয়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই ভবনে প্রথমতলার এক পাশে ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা খেলা-টিভি দেখার এবং তৃতীয়তলায় পড়ার ও নামাজের স্থানের নির্ধারিত কক্ষ আছে। আর যে বাকি যে কক্ষগুলো আছে তার প্রতিটি কক্ষে আটজন শিক্ষার্থীকে থাকতে হয়। তাতে পড়াশোনাসহ নিজের সকল কাজের বিড়ম্বনা ও গাদাগাদি করে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি একটি বেডে দুইজন করে থাকতে হয়।
এ কারণে প্রায় ছাত্রছাত্রীদের ঘুমের এবং পড়ার অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। মোট চারটি হলে আবাসিক শিক্ষার্থী মাত্র প্রায় ২ হাজার দুইশত। এতে, অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট না পাওয়ার কারণে তাদের পড়ালেখা হুমকির মুখে। আবাসিক সংকট নিরসনে প্রকৌশলী বিভাগ জানান, দ্বিতীয় প্রকল্প অনুমোদন করাতে পারলে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো অডিটোরিয়াম
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কোনো অডিটোরিয়াম নেই। কীর্তনখোলা হল ও জীবনানন্দ দাশ হল রয়েছে সেটাও অপর্যাপ্ত ও একটি শ্রেণিকক্ষের মতো। সুধীজন ও বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি যখন বিশ্ববিদ্যালয় কোনো প্রোগ্রাম করতে নিয়ে আসা হয় তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধু জায়গার সংকটের কারণে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
যে কোন ডিপার্টমেন্টের কালচারাল, নবীন বরণ, র্যাগ-ডে উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য বিভাগে বা কীর্তনখোলা অথবা জীবনানন্দ হলের ছোট্ট এই জায়গার ওপর নির্ভর করতে হয়। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পাঁচ দিনের মধ্যে আরও একদিন মঙ্গলবার ছুটি। যে কার্যক্রম অফ লাইনে হলে সুন্দর হয় সেটা অনলাইনে হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পাঠ বোঝার ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। ববিতে ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত নিম্ন এবং অপারেটরদের যে ইন্টারনেট সার্ভিস সেটা দ্বারা অনেক সময় ক্লাস করা ও বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। অবাধ সংস্কৃতি চর্চা, বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ করে পড়াশোনাসহ বিনোদনকে উপভোগ করতে অডিটোরিয়াম জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত সমস্যা
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভোলা রোডের মেইন গেটের দিকে তাকালে মনে হয় কোন ছোট জঙ্গলে এসেছি। যার দুই পাশে ঝোপঝাড় লতা পাতায় ভর্তি, পাশে যে দুইটা খাল রয়েছে সেখানেও ময়লা এবং কালো পানিতে পরিপূর্ণ। পুকুরগুলো আছে সংস্কারহীন অবস্থায়। দ্বিতীয় উপাচার্য ইমামুক হক সংস্কারের কথা জানালেও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। বিভিন্ন জায়গায় অপরিচ্ছন্ন ও রাস্তার ধারে ঝোপ ঝাড়ে পরিপূর্ণ। হলের দুই পাশে ময়লার ভাগাড়।
মেয়েদের হলের পাশে এই ময়লার ভাগাড় আরও বেশি। কোনো ঘাট বাঁধানো পুকুর নেই। পুকুর সংস্কারে ও ঘাট নির্মাণে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন শিক্ষার্থীদের সামনে ঘোষণা দেওয়ার পরও বাস্তবায়ন করেননি। হলের যে একটা পুকুর রয়েছে তার আশেপাশে ঝোপঝাড় আর পুকুরটি কচুরিপানায় পূর্ণ। আর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যে পুকুরটি রয়েছে সেটিরও ঘাট নির্মাণ হয়নি। বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ দেখা যায় অপরিচ্ছন্ন ও অগোছালো ক্যাম্পাসের কারণে। ভূমিও উঁচু নিচু। গর্তগুলো ভরাট করার যেন সময় ছিল না তাদের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কোন পাকা রাস্তা/কংক্রিটের রাস্তা নেই। যে ইট বাধানো রাস্তা আছে তার অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দে ভর্তি আর অমসৃণ। ইটগুলো দেওয়া হয়েছে তিন নম্বর। বর্ষার সময় প্রায়ই রাস্তা এবং আশেপাশের জায়গায় পানি জমে থাকে। রাস্তা উঁচু-নিচু এবং অমর্সৃণ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়।
খেলার মাঠের বেহাল দশা
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেন্দ্রীয় মাঠটি রয়েছে এটির অবস্থা খুবই নাজুক। মাঠে নেই পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। বর্ষায় মাঠে পানি জমে থাকে আর সে মাঠে খেলার কারণে বিভিন্ন খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। আর মাঠ শুকনো অবস্থায় উঁচু-নিচু জায়গায় পা পড়ে অনেক শিক্ষার্থীর আহত ও পা ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। মুক্তমঞ্চের সামনে যে জায়গাটুকু আছে সেটা পরিষ্কারের অভাবে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে সেখানে খেলতে পারে না। ক্রিকেট খেলার জন্য কোনো পিচ বা ভালো মাঠের সুব্যবস্থা নেই। নেই কোনো বাস্কেটবল কোট। নেই ভালো একটা ভলিবল কোট। জিমনেসিয়াম নেই যেখানে শিক্ষার্থীরা শরীর চর্চা করতে পারে।
এ সকল অভিযোগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিজেদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিনের শেষ কর্মদিবসের পর থেকে চলছে নানান সমালোচনা।
বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীরা জানান, তিনজন ভিসি তো এসেছেন। এবার নতুন উপাচার্যকে দেখার পালা। দেখা যাক নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারেন কি! তারা আশাবাদী, যিনি উপাচার্য হিসেবে আসবেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দিবেন।
মন্তব্য করুন