ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ : ঢাবি উপাচার্য 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি : কালবেলা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সঙ্গে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে মহত্ব অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী। তিনি পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে 'মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

সভায় অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধু'র জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এজন্য তিনি কখনো পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবিলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ও আত্মাহুতি দিয়েছিল।

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনঃর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজনন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

এর আগে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত/শান্তি কামনায় বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। কার্জন হল ও টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষক দম্পতিকে বেধরক মেরে টাকা-গয়না লুটে নিল ডাকাতদল

একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

গজারিয়া গণহত্যা / এক মুক্তিযোদ্ধার প্রতিশোধের গল্প

কক্সবাজারে কৃষককে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

কেইনে ডুবল বায়ার্নের শিরোপা ভাগ্য!

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

১৩৯ উপজেলায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল ইসি

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

লুট তখন, এখন ও আগামীকাল!

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে কোইকা কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ

১০

অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার নেবে রংধনু গ্রুপ, বয়স ৫০ হলেও আবেদন

১১

ইসরায়েলকে পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি

১২

সন্ধ্যা নদীতে বিলীন হচ্ছে বাজার, ফেরিঘাট

১৩

কুড়িগ্রামের তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

১৪

ঢাবিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৫

আকর্ষণীয় বেতনে ইবনে সিনায় চাকরি, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

১৬

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

আদালতে মিল্টন সমাদ্দার, কারাগারে আটক রাখার আবেদন

১৮

পুলিশের দ্বারস্থ হলেন চিত্রনায়িকা বুবলী (ভিডিও)

১৯

সোহেল চৌধুরী হত্যা / রায়ের পর্যবেক্ষণে যা বললেন বিচারক

২০
X