প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বদলির মৌসুমে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অব্যাহত তদবিরে অতিষ্ঠ হয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন। অধিদপ্তরের ভাষ্য, বদলির আবেদন নিয়ে সরাসরি আগমনের ফলে অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা অফিস চলাকালে ছুটি নিয়ে বদলির আবেদনের জন্য সরাসরি অধিদপ্তরে আসছেন। এতে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং বিদ্যালয়ের পাঠদান মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আলেয়া ফেরদৌসী শিখা এই বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তদবিরের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা সরাসরি অধিদপ্তরে এসে বদলির জন্য ধরনা দিচ্ছেন।’
মহাপরিচালককেও সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সাক্ষাৎ দিতে হচ্ছে। যার ফলে তিনিও তার দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে অধিদপ্তর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন যথাযথ মাধ্যমে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে। উপপরিচালক আলেয়া ফেরদৌসী শিখা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তবিভাগ বদলির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী ১০ মে পর্যন্ত শিক্ষকরা এই সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন ম্যানুয়ালি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নেওয়া হবে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শিক্ষকদের বদলির আবেদন যাচাই-বাছাই করবেন এবং এরপর তাদের বদলির আদেশ জারি করা হবে। তবে এই আদেশ ঠিক কবে নাগাদ জারি হবে, তা স্পষ্ট করে জানায়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন